কর্মসংস্থান তৈরি ও পারিবারিক আয় বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ
ড. মো: গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী, মো: হাফিজুল হক খান
বাংলাদেশের কৃষির সফলতা এখন বিশ্বে রোল মডেল। একবিংশ শতাব্দীতে ফসলের নিবিড়তা কয়েকগুণ বৃদ্ধির মাধ্যমে অভূতপূর্ব সফলতা অর্জন করেছে যার পিছনে রয়েছে গবেষণা, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিরলস প্রচেষ্টা। জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষির বহুমুখী কর্মকা-ের ক্ষেত্রও অনেক বেড়েছে। অনেকেই হচ্ছে উদ্যোক্তা এবং স্বপ্ন দেখছে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্যিকীকরণে অবদান রাখতে।
উৎপাদিত কৃষি পণ্যকে সরাসরি প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে যথাযথ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কৃষিপণ্য বাণিজ্যিকীকরণে রয়েছে বহুবিধ চ্যালেঞ্জ। পৃথিবীর অনেক দেশে কৃষি পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কৃষিপণ্যকে বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে। উন্নত দেশে সকল পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে এবং বিপণন নীতি, মানদ- ও সার্টিফিকেশন সহজীকরণ করা হয়েছে ফলে প্রক্রিয়াজাতকৃত কৃষিপণ্য হয়েছে মানসম্মত ও রপ্তানিযোগ্য।
ভরা মৌসুমে কৃষিপণ্যের দাম অল্প থাকায় প্রায়ই কৃষক ন্যায্যমূল্য হতে বঞ্চিত হয়ে থাকে। ফসলের সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনার অভাবে অপচয়ের পরিমাণও সেই সময় বাড়তে থাকে, যা খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। শরীরকে সুস্থ রাখতে বছরজুড়ে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য সবার জন্য নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রক্রিয়াজাতকৃত খাদ্যপণ্য এ ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা পালন করে। কৃষিপণ্যকে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হলে তা একদিকে যেমন দেশের মানুষের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে অন্যদিকে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
কৃষিপণ্য বাণিজ্যিকীকরণে সকল পর্যায়ের উদ্যোক্তার অংশগ্রহণকে প্রাধান্য দেয়া প্রয়োজন। ফসলের অপচয় কমাতে স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের প্রথমেই প্রাথমিক প্রক্রিয়াজাতকরণে উৎসাহিত করা, স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণ, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন, উত্তম কৃষি চর্চা, স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনা, উপযুক্ত প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তি, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বিধিবিধান বা খাদ্য আইনবিষয়ক ইত্যাদি সম্পর্কে অবহিত করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। নি¤েœ বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজে ক্ষুদ্র যন্ত্রপাতি সরবরাহ : যথাযথভাবে প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে গুণগতমানসম্পন্ন খাদ্য তৈরি করতে ড্রায়ার, স্লাইসার, রিফ্রাক্টোমিটার, জুস এক্সট্রাক্টর, সিলিং মেশিন, হাইড্রোকুলার, প্যাকেজিং মেশিন ইত্যাদি সরবরাহ করা গেলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাগণ সহজেই শুকনো খাদ্যদ্রব্য যেমন- ফলমূল ও শাকসবজি শুকানো, আচার, চাটনি, জুস, জেলি, জ্যাম ইত্যাদি তৈরি করতে পারবে। ভরা মৌসুমে অনেক সময় একনাগাড়ে কয়েক দিন বৃষ্টি হলে সে সময় ড্রায়ার অপরিহার্য। এ ছাড়া রৌদ্রে শুকানোর সময় অনেক সময় পশু-পাখি, পোকামাকড়, ধুলা বালু খাদ্যদ্রব্যে পড়ার সম্ভাবনা থাকে এতে রোগ-জীবাণুর আক্রমণের ব্যাপক আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। হ্যান্ড রিফ্রাক্টোমিটার ব্যবহার করে সঠিকভাবে ফলের জ্যাম, জেলি, টমেটো সস, ড্রাইড প্রডাক্ট তৈরি করা যায়।
কাঁচামাল সরবরাহ সহজলভ্য করা : স্থানীয় পর্যায়ের উদ্যোক্তা ভরা মৌসুমে ফলমূল ও শাকসবজি স্বল্পমূল্যে ক্রয় করে সারা বছর ব্যবহার করার জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারে কিন্তু ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য সংগ্রহ করতে না পারায় তা সম্ভব হয় না। ফলে উদ্যোক্তা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কিন্তু রাসায়নিক সামগ্রী সহজলভ্য করা হলে এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের স্বল্পমূল্যে সরবরাহ করা হলে তারা অনায়াসে ফলমূল ও শাকসবজি সংরক্ষণ করে সারা বছর মানসম্মত খাদ্য তৈরি করতে পারবে এবং তা বিপণন করতেও সক্ষম হবে।
প্যাকেজিং প্রযুক্তির সম্প্রসারণ করা : অল্প পুরুত্বের পলিপ্রোপাইলিন প্যাকেটে সাধারণত খাদ্যদ্রব্য প্যাকেটজাতকরণ কাজে ব্যবহার করা হয়, যা মানসম্মত নয়। কিন্তু ফুড গ্রেড প্যাকেট আমাদের দেশে সহজলভ্য নয় আবার তা ব্যয়বহুল। প্যাকেজিং উপকরণ আমদানিতে শুল্ক হ্রাস করা বা প্রয়োজনে শুল্ক প্রত্যাহার, প্যাকেজিং উপকরণ দেশে উৎপাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ, প্যাকেজিং যন্ত্রপাতি স্থাপনে উৎসাহিত করা ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে প্যাকেট ও প্যাকেটজাত দ্রব্য সহজলভ্য এবং ব্যাপক সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হলে স্থানীয় পর্যায়ের উদ্যোক্তা উৎসাহী হবে এবং ভোক্তা নির্দ্বিধায় প্রক্রিয়াজাতকরণকৃত খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করতে আগ্রহী হবে।
প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্যসামগ্রী তৈরির কাজে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান : প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজে কাঁচামাল ক্রয় করতে অর্থের প্রয়োজন। সরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে উদ্যোক্তাগণ কিস্তিতে সহজেই প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্যসামগ্রী বিক্রয় করে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পারবে। ফলে উদ্যোক্তাগণ ধীরে ধীরে তার ব্যবসাকে সম্প্রসারণ করতে পারবে যা তাকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করবে।
উদ্যোক্তাদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ প্রদান : স্থানীয়পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তির প্রয়োগ, যন্ত্রপাতির ব্যবহার, নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে তৈরি করা, খাদ্যদ্রব্য যথাযথ সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণসহ অন্যান্য মানদ- বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করার মাধ্যমে অবহিত করা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান করা। প্রশিক্ষণ প্রদানে সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন-কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি গবেষণা, কৃষি বিপণন, বিসিক, বারটান, বিসিএসআইআর, বিএসটিআইসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাবৃন্দ সরাসরি যুক্ত থাকলে তা অধিক ফলপ্রসূ হবে এবং উদ্যোক্তাদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। প্রশিক্ষণে বিশেষ করে নারীদের অধিকহারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, প্রয়োজনে পুরো পরিবারকে প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে।
স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সাথে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সংযোগ স্থাপন : স্থানীয় উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্যসামগ্রী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিপণন ও কাঁচামাল হিসেবে সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাথে আন্তঃসংযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদ্যোক্তা নিশ্চয়তা পেলে ভরা মৌসুমে অধিক পরিমাণে বিভিন্ন ফলমূল ও শাকসবজি সহজেই সংরক্ষণ করতে পারবে এবং তা নিজ দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করবে।
পরিপুষ্ট ফলমূল পাকাতে রাইপেনিং চেম্বার স্থাপন : অনেক সময় কৃষক ও ব্যবসায়ীগণ অধিক লাভের আশায় মৌসুমের শুরুর আগে অপরিপুষ্ট ফল ও সবজি (আম, কলা, পেঁপে, টমেটো) পাকাতে বিভিন্ন পিজিআর (চষধহঃ এৎড়ঃিয জবমঁষধঃড়ৎং) হরমোন ব্যবহার করে থাকে। গবেষণা দেখা যায়, অধিক মাত্রায় ইথোপেন ব্যবহারের ফলে অপরিপুষ্ট ফলমূলের ২-৩ দিনের মধ্যে উপরিভাগের রঙের পরিবর্তন ঘটে থাকে। কিন্তু ফলমূল যথাযথ পাকে না বিধায় পুষ্টিমানের ব্যাপক তারতম্য ঘটে থাকে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি হচ্ছে পরিপুষ্ট ফলমূলে পরিমিত মাত্রার ইথিলিন গ্যাস প্রয়োগ করা যেখানে রাইপেনিং কক্ষের তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও পাকানোর সময় নির্ধারণ করা হয়। ফলে সমভাবে ফলমূল সহজে পাকানো যায় এবং দূরত্ব অনুযায়ী ফলমূল পাকানোর মাত্রার প্রয়োগ করা যায়।
প্যাকহাউজ ও কুলবুট স্থাপন : সতেজ ফলমূল ও শাকসবজি মাঠ হতে সংগ্রহ করার পর এর শ^সন প্রক্রিয়া দ্রুত চলতে থাকে ফলে গুণগতমানের অপচয় হয় এবং দ্রুত নষ্ট হতে শুরু করে। এক্ষেত্রে সংগ্রহোত্তর পরিচর্যা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করার জন্য প্যাকিং হাউজ সুবিধা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেখানে সর্টিং, গ্রেডিং, ওয়াশিং, প্যাকিং এবং প্যাকেজিং সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে। খাদ্য প্রস্তুতকরণ কাজে স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়াজাতকরণকৃত কৃষিপণ্য সংরক্ষণ করার জন্য প্যাকিং হাউজ ব্যবহার অপরিহার্য। কুলবুট স্থাপনা মিনি কোল্ডস্টোরেজের ন্যায় কাজ করে। একটি নির্দিষ্ট রুমকে ইনসুলেটর দিয়ে আবৃত করে উক্ত রুমে এয়ারকন্ডিশনার সংযোগ ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিলে সতেজ ও প্রক্রিয়াজাতকৃত কৃষিপণ্যকে দীর্ঘ সময় গুণগতমান অক্ষুণœ রেখে সংরক্ষণ করা যায়। অপরদিকে ফসলের অপচয় কমাতে স্বল্পখরচে ৪-৫ টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন বিশেষায়িত হিমাগার স্থাপনের মাধ্যমে কৃষক ও উদ্যোক্তা সহজেই তাদের কৃষিপণ্য বেশি সময় সংরক্ষণ করতে পারবে। বিভিন্ন চেম্বার তৈরির মাধ্যমে ফলমূল ও সবজি আলাদাভাবে সহজেই সংরক্ষণ করতে পারবে। এই চেম্বারে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও ইথিলিন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকবে। অঞ্চলভিত্তিক গ্রুপ গঠন করে ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ করার মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাত অনায়াসে করতে পারবে।
স্থানীয় পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের কৃষিপণ্য বিপণনের জন্য ন্যূনতম বিধিবিধান প্রণয়ন
প্রক্রিয়াজাত পণ্যের বিপণন ব্যবস্থা সম্প্রসারণে স্থানীয় পর্যায়ে বিপণনের জন্য স্বতন্ত্র বিধিবিধান বা ব্যবসা নীতি থাকা প্রয়োজন যা স্থানীয় একটি রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান (বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট-বিএসটিআইয়ের অনুরূপ একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। স্থানীয় প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব হবে ন্যূনতম স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা মেনে চলার শর্তগুলো তৈরি করা ও সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা এবং সেটির নাম মূল্যে লাইসেন্সিংয়ের ব্যবস্থা করে দেয়া, লাইসেন্স নবায়ন করা ও প্রয়োজনে বাতিল করা, খাদ্য পণ্যের ন্যূনতম মানদ- (গুণগতমান) নিরূপণ করা ও প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ করা, প্রক্রিয়াজাত পণ্যের মাননিয়ন্ত্রণ বিষয়ে ভোক্তাদের অভিযোগকে তাৎক্ষণিক মূল্যায়ন করা ও প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়া। এই প্রতিষ্ঠানটি ন্যূনতম বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিবে যেমন- মোড়কজাতকরণ, পণ্যের তথ্যসহ মোড়কের গায়ে লেবেলিং, খাদ্যপণ্যের নির্ধারিত মূল্য, প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার সর্বোচ্চ কত দিন ব্যবহার করা যাবে সেটির তারিখ উল্লেখ থাকা ইত্যাদি যা প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান এর সাথে সামঞ্জ্য রেখে তৈরি করবে। এখানে স্থানীয় উদ্যোক্তা খাদ্য আইন বা বিধিবিধান অনুসরণ করে নির্দিষ্ট পরিমাণ যেমন-ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা ও মাঝারি পর্যায়ের উদ্যোক্তা প্রতি মাসে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত কৃষিপণ্য বিপণন করতে পারবে। ফলে উদ্যোক্তাগণ অতি সহজেই খাদ্যসামগ্রী তৈরি করে নিজেই বিপণন করতে আগ্রহী হবে এবং উৎসাহিত হয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণে উদ্বুদ্ধ হবে।
লেখক : ১ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ২মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ, বিএআরআই, গাজীপুর। মোবাইল : ০১৭১২২৭১১৬৩, ই-মেইল : ভবৎফড়ঁং৬১৩@মসধরষ.পড়স